'মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা।' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকবল সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে দক্ষ জনশক্তি রেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু রেল থেকে না সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনশক্তি বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে গিয়েছিলাম। সৈয়দপুরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানা। সেখানে কাজ করার জন্য ২৮০০ লোকের দরকার। কিন্তু সেখানে এখন আছে মাত্র ৮৫০ জন লোক। এসব জনশক্তি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই রেলওয়ের শূন্যপদ পূরণ করে রেলওয়েকে সুবিধাজনক অবস্থায় আনা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন বগি সংকট। পুরোনোগুলো মেরামত করে আমরা ঈদের মধ্যে এগুলো যুক্ত করবো। ইনশাআল্লাহ আগামী ১ বছরের মধ্যে আমাদের ৮০০ বগি হাতে এসে পৌঁছাবে। নতুন ইঞ্জিন আসবে। তখন আমরা বিভিন্ন রুটে ট্রেনও বাড়াবো। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন রুটে বন্ধ থাকা ট্রেন চালু করছি। সম্প্রতি বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে। রাজবাড়ী রুটে আরেকটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হবে, যেটা পোড়াদহ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত যাবে। খুব শিগগিরই এটা দেওয়া হবে।
রেলমন্ত্রী এ সময় রেলের খাবারের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রেলের যে বুফে কার রয়েছে সেখানে খাবারের মান খুবই খারাপ ছিল। আমি তাদের সঙ্গে রেল ভবনে বসেছিলাম। তাদের আমি বলেছিলাম খাবারের দাম আপনারা বেশি নেন তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু মান খারাপ হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। রেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সব সমস্যা সমাধানের।
এছাড়া টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে বলেন, রেলওয়েতে টিকিট কালোবাজারি রয়েছে। এরা একটি বিরাট সিন্ডিকেট। আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে ইতোমধ্যে তিনটি সিন্ডিকেট ও টিকিট কালোবাজারিদের ধরেছি।